আপনি কি SEO শিখতে চান ? এসইও টিউটোরিয়াল (পর্ব-৩) [ এসইও প্রকারভেদ-২ ] !

আপনি কি SEO শিখতে চান ? তাহলে এই টিউনটি ভালভাবে পড়ুন


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ রহমতে সবাই ভালো আছেন।
আজ আপনাদের মাঝে SEO টিউটোরিয়াল(পর্ব-৩) নিয়ে হাজির হয়েছি সেই সাথে আমি আপনাদেরকে এমন ভাবে শেখানোর চেষ্টা করবো যাতে আপনারা খুব সহজে বুঝতে পারেন এবং নিশ্চিত ইনকাম করতে পারেন বা নিজের ওয়েব সাইট, ব্লগসাইটকে একটি লেভেলে আনতে পারেন। আমি আশা করছি শেষ পর্যন্ত আপনাদেরকে আমার সাথে পাবো। আজ আমি আপনাদের শেখাবো SEO কে আরও দুই ভাগে ভাগ করা যায়। তো চলুন শুরু করা যাক।

যেমন White Hat SEOBlack Hat SEO

https://tunerdesk.blogspot.com
White Hat SEO: এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান করার নিয়ম নীতিমালা আইন ভঙ্গ বা অমান্য না করে এসইও করা হয়, তাহলে এই সকল অপটিমাইজেশনকে অবশ্যই হোয়াইট হ্যাট এসইও বলা হবে। এই সমস্ত নীতিমালার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হচ্ছে কোন ওয়েবসাইট বা ব্লগসাইট এমন কিছু কন্টেন্ট বা আর্টিকেল লিখতে হবে, সেটি যেন মানুষের কাজে লাগে, শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিনের জন্য তৈরি না করা হয়। ধরেন আপনি যদি আপনার ওয়েব সাইটে কিছু আর্টিক্যাল লিখলেন। আবার এসইও করার লক্ষ্যে ভালো ভালো কন্টেন্ট বা অতিরিক্ত কিওর্য়াড যুক্ত করলেন। কিন্তু সেই আটিকেল গুলোতে মানুষের উপকার হয় এমন জাতীয় তথ্য দিলেন না। এতে এসইও করার ফলে একসময় ভিজিটর বাড়বে কিন্তু স্থায়ী হবে না। কারণ ঐ সমস্ত ওয়েবসাইটে ভাল ভাল কোন কন্টেন্ট বা আর্টিকেল না থাকার ফলে ভিজিটররা প্রথম বার ভিজিট করে পরবর্তীতে আর ভিজিট করবেনা। এছাড়াও এসইও এর অন্যান্য পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে,- লিংক-বিল্ডিং পদ্ধতি, ব্যাকলিংক পদ্ধতি, পপুলারিটি পদ্ধতি, কিওয়ার্ড গবেষনা পদ্ধতি, ব্লগ কমেন্ট পদ্ধতি ইত্যাদি। আবার হোয়াইট হ্যাট এসিওকে ইথিক্যাল এসইও(Ethical SEO) বলা হয়। তবে আমি সবসময় হোয়াইট হ্যাট পদ্ধতিতে কাজ করা পছন্দ করি। এতে ওয়েবসাইট বা ব্লগসাইট সার্চ ইঞ্জিনের ওপরে উঠতে সময় একটু বেশী লাগলেও টেনশন ফ্রি এবং গুগলের ব্লাক তালকিায় পরার সম্ভবনা একবারেই থাকেনা।  

tunerdesk.blogspot.com
Black Hat SEO: এক কথাই বলা যায়, যেসব এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন গাইড লাইন বা নিয়ম আইন কানুন আছে, সেগুলো নিয়মনীতি না মেনে সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাংকের উপরে ওঠে আসার লক্ষ্যে যেসব এসইও করা হয় তাদেরকে Black Hat SEO বলে। ব্লাক হ্যাট এসইও তে যে সমস্ত কাজ করা হয়: কিওয়ার্ড স্টাফিং পদ্ধতিক্লকিং পদ্ধতি, অদৃশ্য টেক্সক্ট পদ্ধতি, ডোরওয়ে পেজেস পদ্ধতি, স্প্যামিং ব্যাকলিংক পদ্ধতি ইত্যাদি পন্থা অবলম্বন করা হয়ে থাকে এই ধরনের এসইও কে আনইথিক্যাল এইসও (Unethical SEO) বলা হয়ে থাকে। 


ব্লাক হ্যাট এসইও পদ্ধতিতে এসইও করলে সাময়িক ভাবে টপ র‌্যাংকে আসা যায়। কিন্তু ১০০% গ্যারান্টি একসময় সার্চ ইঞ্জিন রোবট এই কার্যক্রম ধরে ফেলবে। ফলে ঐ সমস্ত ওয়েব সাইট গুলোকে ব্লাক লিষ্টের তালিকায় রাখবে, এমনকি সাইট গুলোকে সার্চ ইঞ্জিন থেকে বাদ বা অপসরন করে ফেলে দেয়। তাই আপাত দৃষ্টিতে কখনোই ব্লাক হ্যাট পদ্ধতিতে এসইও করা ঠিক নয়। 
আজ এই পর্যন্তই, আশাকরি সবাই বুঝতে পারতেছেন আর সম্ভব হলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না


বি:দ্র: এসইও টিউটোরিয়াল (পর্ব-)পড়ুন