কলকাতা থেকে কাশ্মীর কিভাবে ভ্রমন করবেন

কলকাতা থেকে কাশ্মীর কিভাবে যাবেন:-
কলকাতা থেকে সরাসরি জম্মু যাওয়ার দুটি ট্রেন আছে। হিমগিরি ও জম্মু তাওয়াই। হিমগিরি সপ্তাহে ৩ দিন (মঙ্গল, শুক্র ও শনিবার) রাত ১১:৫০ টায় হাওড়া থেকে জম্মুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সময় লাগে ৩৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। আর জম্মু তাওয়াই প্রতিদিন চললেও সময় একটু বেশি লাগে।ভাড়া পড়বে ১২০০ থেকে ৫০০০ পর্যন্ত স্লিপার,এসি থ্রি/টু টায়ার আর বাথ।জম্মু নেমে শ্রীনগর যেতে হবে বাস বা রিজার্ভ কারে করে। বাসের ভাড়া পড়বে ‪৮০০-১৫০০‬ রুপি।আর গাড়ি ভাড়া পড়বে ৫০০০-৮০০০‬ রুপি পর্যন্ত। গ্রুপের সদস্য সংখ্যার ওপরে নির্ভর করে গাড়ি নেবেন। জম্মু থেকে শ্রীনগর যেতে সময় লাগবে ৮-১০ ঘণ্টা।চাইলে ৫২ কিমি এগিয়ে উদামপুর নাগাদ যাওয়া যায়, তারপর সেখান থেকে ১৫২ কিমি ট্যাক্সিতে প্রায় ৫/৬ ঘন্টায় বানিহিল নাগাদ যেয়ে বাকি অংশ মানে বানিহিল থেকে শ্রীনগর নাগাদ রেলে যাওয়া যায়। এতে সময় ও খরচ দুটোইই বাঁচে। এই পথে পাহাড়ের নীচ দিয়ে প্রায় ১১২৫০ মিটার লম্বা টানেল পার হয়ে যেতে হয়, তাছাড়া উদামপুর ও জম্মুর মধ্যেও অনেকগুলো টানেল রয়েছে।
এছাড়াও আপনি জম্মু নেমে শ্রীনগর না গিয়ে সরাসরি পেহেলগাম যেতে পারেন।সরাসরি পেহেলগাম যেতে হলে আপনাকে জম্মু থেকে গাড়ী ভাড়া করতে হবে।রিজার্ভ করলে ভাড়া পড়বে ৭০০০-৮০০০ রুপি।পেহেলগাম খুবই সুন্দর।মানুষগুলো তারচেয়ে বেশী ভালো।অদ্ভুত ভাল ব্যবহার।পেহেলগাম থেকে চান্দেনওয়ারী যেতে সময় লাগে ৩০ মিনিট।চান্দেনওয়ারী,আরু ভ্যালী আর বেতাব ভ্যালী এই ৩ জায়গা দেখতে গাড়ী ভাড়া ১৬০০ রুপি।
যদি আপনি জম্মু থেকে সরাসরি শ্রীনগর যান তাহলে শ্রীনগর শহর থেকে ৫২ কিমি গুলমার্গ।গাড়ী ভাড়া পড়বে ২০০০ রুপি।
এছাড়াও কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে পারেন বেশ আয়েশ করে রাজধানী এক্সপ্রেসে।ভাড়া পড়বে ‪৩০০০-৪০০০‬ টাকা শ্রেণিভেদে। তবে সব খাবার এই টিকেট ভাড়ার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে। দিল্লিতে সারা দিন ঘুরে রাতের রাজধানী এক্সপ্রেসে যেতে পারেন দিল্লি থেকে জম্মু পর্যন্ত। রাতে ছেড়ে সকালে পৌঁছায়। জম্মু থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত আগের মতো বাস বা গাড়ি রিজার্ভ করে।
এয়ারে কাশ্মীর যেতে হলে ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক বিমানে প্রথম যেতে হবে দিল্লি ইন্ধিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, সেখান থেকে শ্রীনগর। অথবা ঢাকা থেকে কলকাতা যাবেন ট্রেনে বা বাসে পরে সেখান থেকে ডোমেস্টিক বিমানে জম্মু অথবা শ্রীনগর বিমানবন্দরে যাওয়া যাবে। কলকাতা থেকে সরাসরি শ্রীনগরে কোনো ফ্লাইট নেই তাই দিল্লি হয়ে যেতে হয়।
কাশ্মীর এর ইতিহাস:-
কাশ্মীরের ইতিহাস বৃহত্তর ভারতীয় উপমহাদেশ ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহের (মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়া) ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ঐতিহাসিকভাবে কাশ্মীরকে 'কাশ্মীর উপত্যকা' নামে অভিহিত করা হয়েছে। বর্তমানে কাশ্মীর বলতে একটি তুলনামূলক বৃহৎ অঞ্চলকে বোঝায়। বর্তমান ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য (যেটি জম্মু, কাশ্মীর উপত্যকা ও লাদাখের সমন্বয়ে গঠিত), পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিত-বালতিস্তান অঞ্চলদ্বয় এবং চীন-নিয়ন্ত্রিত আকসাই চিন ও ট্রান্স-কারাকোরাম ট্র্যাক্ট অঞ্চলদ্বয় বৃহত্তর কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্ত।
পঞ্চম শতাব্দীর পূর্ববর্তী সময়ে কাশ্মীর প্রথমে হিন্দুধর্ম এবং পরে বৌদ্ধধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়। পরবর্তীতে নবম শতাব্দীতে কাশ্মীরে শৈব মতবাদের উত্থান ঘটে। ত্রয়োদশ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীতে কাশ্মীরে ইসলাম ধর্মের বিস্তার ঘটে এবং শৈব মতবাদের প্রভাব হ্রাস পায়। কিন্তু তাতে পূর্ববর্তী সভ্যতাগুলোর অর্জনসমূহ হারিয়ে যায় নি, বরং নবাগত ইসলামি রাজনীতি ও সংস্কৃতি এগুলোকে বহুলাংশে অঙ্গীভূত করে নেয়, যার ফলে জন্ম হয় কাশ্মিরি সুফিবাদের।
১৩৩৯ সালে শাহ মীর কাশ্মীরের প্রথম মুসলিম শাসক হিসেবে অধিষ্ঠিত হন এবং শাহ মীর রাজবংশের গোড়াপত্তন করেন। পরবর্তী পাঁচ শতাব্দীব্যাপী কাশ্মীরে মুসলিম শাসন বজায় ছিল। এর মধ্যে মুঘল সম্রাটরা ১৫৮৬ সাল থেকে ১৭৫১ সাল পর্যন্ত এবং আফগান দুররানী সম্রাটরা ১৭৪৭ সাল থেকে ১৮১৯ সাল পর্যন্ত কাশ্মীর শাসন করেন। ১৮১৯ সালে রঞ্জিত সিংহের নেতৃত্বে শিখরা কাশ্মীর দখল করে। ১৮৪৬ সালে প্রথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধে ইংরেজদের নিকট শিখরা পরাজিত হয়। এরপর অমৃতসর চুক্তি অনুসারে জম্মুর রাজা গুলাব সিংহ অঞ্চলটি ব্রিটিশদের কাছে থেকে ক্রয় করেন এবং কাশ্মীরের নতুন শাসক হন। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তাঁর বংশধরগণ ব্রিটিশ রাজমুকুটের অনুগত শাসক হিসেবে কাশ্মীর শাসন করেন। ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের সময় অঞ্চলটি একটি বিবদমান অঞ্চলে পরিণত হয়। বর্তমানে অঞ্চলটি ভারত, পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে বিভক্ত।
কখন যাবেন কাশ্মীর:-
কাশ্মীর মূলত অল ওয়েদার ট্যুরিস্ট এরিয়া। আবহাওয়া ও ভৌগোলিক দিক থেকে কাশ্মীরের মৌসুম চারটি। গ্রীষ্ম (জুন, জুলাই, আগস্ট), শরৎ (সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর), শীত (ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি) ও বসন্ত (মার্চ, এপ্রিল, মে)। পর্যটনের ভাষায় মৌসুমগুলোকে বলা হয়, গ্রিনভ্যালি, ফ্রুট ভ্যালি, আর ফ্লাওয়ার ভ্যালি। চার মৌসুমে কাশ্মীরের চার রূপ। তবে শীতে কাশ্মীর ভ্রমণ করতে হলে আপনাকে রাখতে হবে বাড়তি প্রস্তুতি। গরম কাপড়, গ্লাভস, বুট সেখানে আবশ্যক।
কাশ্মীরে ঘোরার জায়গাঃ
শ্রীনগর শহরঃ-
শ্রীনগর শহরের ভিতর ডাল লেক, নাগিন লেক, বোটানিক্যাল গার্ডেন,ইন্দিরা গান্ধী টিউলিপ গার্ডেন,নিশাত বাগ, শালিমার বাগ, চাশমেশাহী বাগ, পারিমহল,হযরত বাল দরগাহ, শংকরাচার্যহিল। শহরের মধ্যে দেখার জায়গা গুলো একদিনেই দেখা যায়, গাড়ী(৬-৮ জন) ভাড়া নিয়ে ঘুরলে ২০০০ রুপি ভাড়া নেবে আর অটোরিক্সা ভাড়া নিলে নিবে ৮০০ রুপি। ডাল লেকে শিকারা বা ছোট নৌকায় বেড়ালে ভাড়া নেয় ঘন্টা প্রতি ৪০০ রুপি, আর হোটেলের বদলে লেকের পানিতে ভেসে থাকা হাউজবোটে থাকলে ভাড়া লাগবে ‪১‬৫০০-২০০০ রুপি।
পাহেলগামঃ-
শ্রীনগর থেকে প্রায় ৯৭ কিমি দূরে অবস্থিত। ট্যাক্সি ভারা নেবে প্রায় ২৫০০ রুপি। অনন্তনাগ থেকে বাকি অংশটা গেলে শুধু রাস্তার দুপাশে পড়বে আপেলের বাগান। জুলাই থেকে অক্টোবর, এই সময়ের মধ্যে গেলে গাছে আপেল দেখা যায়। পাহেলগাম নেমে আবার ছোট গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে বেড়াতে হয়। কয়টা স্পট ঘুরবেন তার উপর এই গাড়ির ভাড়া নির্ভর করে, তবে গড়ে ১৬০০ রুপিতেই হয়ে যায়। এখানে অনেকগুলো স্পট রয়েছে, তাদের মধ্যে আরু ভ্যালি, বেতাব ভ্যালি, চান্দেনওয়ারি, লিদারওয়াত রিভার, মিনি সুইজারল্যান্ড খ্যাত বাইসারান,সান টেম্পল, তুলিয়ান লেক,মানষি লেক বিখ্যাত। (পেহেলগামে থেকে আরু ভ্যালি ও চান্দেনওয়ারী যেতে ভাড়া ১৬০০ রুপি। পেহেলগামে ৬ পয়েন্ট (পেহেলগাম ভিউপয়েন্ট, ধাবিয়ান, বাইসারান, কানিমার্গ, কাশ্মীর ভ্যালী ভিউ পয়েন্ট, ওয়াটারফল) ঘোড়ায় প্রতিজনের ৫০০-৮০০ রুপি)



গুলমার্গ:-
সারা বছর বরফ দেখার জন্য গুলমার্গ বিখ্যাত, যা শ্রীনগর থেকে প্রায় ৫২ কিমি দূরে অবস্থিত। যেতে ও ফিরে আসতে সারা দিন লেগে যায়, মানে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫ টা। শ্রীনগর শহর থেকে গুলমার্গ যেতে গাড়ী ভাড়া নেবে ২০০০ রুপি। ওখানে দুই ধাপের কেবল কার বা রোপওয়ে আছে। নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে গেলে একধাপ উঠলেই বরফ দেখা যায়, যায় ভাড়া ৭৫০ রুপি করে। আর বাকি সময়ে গেলে দ্বিতীয় ধাপে উঠলে বরফ মেলে যার ভাড়া আরও ৯০০ রুপি করে। আর স্নো স্কেটিং ৭০০ থেকে ১০০০ রুপি পড়বে। রুপি খরচ করে বরফে অনেক বিনোদন নেয়া যায়, স্কেটিং, স্কুটার, প্যারাগ্লাইডিং ইত্যাদি। এখানে ঘোরার জায়গাগুলোর মধ্যে গুলমার্গ গন্ডোলা (প্রতিজন ‪৮০০-৩০০০‬ রুপি), আফারওয়াত পিক, খিলানমার্গ, বাবা রেশির মাজার, গলফ কোর্স, সেন্ট মেরী চার্চ, এলপাথর লেক, বায়সফিয়ার রিজার্ভ।
গুলমার্গ এর ইতিহাস:-
জম্মু-কাশ্মীরের বারামুলা জেলার ছোট্ট একটি হিল স্টেশন এই গুলমার্গ। কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে ৫২ কিলোমিটার দূরে এবং আট হাজার ৮২৫ ফুট উপরে এই হিল স্টেশনে গেলে দ্বিধা সৃষ্টি হবেই, স্থানটি গুলমার্গ নাকি সুইজারল্যান্ডের কোনো বরফঢাকা অচেনা শহর। এর ইতিহাস সম্পর্কে ঘাঁটতে গিয়ে দেখা যায়, রাজা ইউসুফ শাহ চাক এবং সম্রাট জাহাঙ্গীরের পছন্দের অবকাশযাপনের স্থান ছিল গুলমার্গ। এই বরফপর্বতের আগের নাম ছিল ‘গৌরিমার্গ’। হিন্দু দেবতা শিবের স্ত্রীর নামে এই পর্বতের নাম রাখা হয়েছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে ওই নাম এক সময় হয়ে যায় গুলমার্গ।
সোনমার্গঃ-
শ্রীনগর থেকে ৪২ কিমি দূরে অবস্থিত, দ্রাস, কারগিল, লে লাদাখের পথে।গাড়ী ভাড়া লাগবে ২০০০ রুপি। পথে পড়বে অপরূপ সিন্ধু নদ।অনেক সুন্দর উপত্যকা ও ঝর্ণা দেখা যায় সেখানে। সোনামার্গে ঘোরার জায়গার মধ্যে জাজিলা পাস, থাজিওয়াস গ্লেসিয়ার (সোনামার্গ থেকে থাজিওয়াস হিমবাহ গাড়ি ভাড়া ‪২৫০০- ৩৫০০‬/- রুপি), গঙ্গাবাল লেক, গাদসার লেক, ভিসান্তার লেক, সাসতার লেক।
কিন্তু এসবের বাইরে দুধপত্রী, কোকরনাগ, ডাকসুম কিংবা সিনথেনটপের সৌন্দর্য আসলে আরো মুগ্ধকর। আহারবালের জলপ্রপাতটিও অনন্য এক গন্তব্য। বাডগাম জেলার চারার-এ-শরীফে যাওয়ার রাস্তাটিতে না গেলে হিমালয়ের রূপ উপলব্ধি করা আমার মনে হয় অসম্ভব। সেখান থেকে আরো ওপরে গেলে দেখা মেলে দুধগঙ্গার। উত্তরে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম স্বাদুপানির লেকের নাম উলার লেক। গ্যান্ডারবালে আরেকটি ছোট্ট লেকের নাম মানসবাল।
কাশ্মীরে থাকা:-
১২০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে বেশ ভালো মানের রুম পাবেন পুরো কাশ্মীরজুড়েই। শ্রীনগর, ডাললেক, হাইজ বোট, গুলমার্গ, সোনমার্গ, পেহেলগাম, সব জায়গাতেই। যেখানে একটি ছোট পরিবার আরামে আর তিনজনের একটি গ্রুপ অনায়াসে থাকতে পারবেন।
শ্রীনগরঃ
শ্রীনগরে থাকার জন্য অনেক হোটেল আছে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ নাগাদ। পছন্দ আপনার কাছে। আগে বুকিং দেবার প্রয়োজন নেই, গিয়ে দেখে ইচ্ছামত নেয়া যায়, দামাদামি করা যায়। তবে গড়ে ১২০০ থেকে ২০০০ রুপির মধ্যে দুইজনের জন্য ভাল রুম পাওয়া যায়।
আর হোটেলের বদলে ডাল লেকের পানিতে ভেসে থাকা হাউজবোটে থাকলে ভাড়া লাগবে ‪১৮০০-৩০০০‬ রুপি। তবে এটা এক ব্যতিক্রম অভিজ্ঞাতা।
গাড়ি ভাড়া:-
শ্রীনগর থেকে অন্যান্য স্পটের যেখানেই যেতে চান, আপনি যদি সময়ের ভাবনা না ভাবেন, তবে লোকাল ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে খুবই কমে নানা জায়গায় যাওয়া-আসা করতে পারবেন।গ্রুপ করে বা পরিবার নিয়ে গেলে গাড়ি ভাড়া করে নেওয়াই ভালো। সে ক্ষেত্রে খুব বেশি দামাদামি করার সুযোগ নেই। নানা রকম গাড়ির রেট নির্ধারণ করাই আছে, সারা দিনের জন্য।দেখে শুনে-বুঝে গাড়ি আর ড্রাইভার নির্বাচন করুন। কোনো হোটেল বা দালালের দরকার নেই। ডাল লেকের পাশে দাঁড়ালেই শত শত গাড়ি পেয়ে যাবেন।
আপনার কাশ্মীর ভ্রমনকে আপনি সুবিধামতো সাজাতে পারেন।যেমন:-আপনি জম্মু পৌঁছে সরাসরি শ্রীনগর না গিয়ে জ্ম্মু থেকে গাড়ীতে করে পাটনিটপ রাত থেকে পরের দিন সকালে সরাসরি পেহেলগাম চলে যেতে পারেন।কারন জম্মু থেকে পেহেলগাম এর রাস্তা দিয়েই আপনাকে শ্রীনগর যেতে হবে।এক রাস্তায় দুইবার না গিয়ে জম্মু থেকে সরাসরি পেহেলগাম যেতে পারেন।
পেহেলগামে ১ম দিন দেখতে পারেন-মিনি সুইজারল্যান্ড খ্যাত বাইসারান,কাশ্মীর ভ্যালী ভিউ পয়েন্ট,পেহেলগাম ভিউপয়েন্ট, ধাবিয়ান, কানিমার্গ,ওয়াটারফল।
পেহেলগামে ২য় দিন-চান্দেনওয়ারী,মানষি লেক,বেতাব ভ্যালী,আরু ভ্যালী।
পরের দিন শ্রীনগর শহর চলে যান।শ্রীনগর শহর থেকে গুলমার্গ।শ্রীনগর থেকে খুব ভোরে বের হলে গুলমার্গ দেখে শ্রীনগর শহর চলে আসতে পারবেন।চাইলে গুলমার্গ রাতে থাকতে পারেন।কিন্তু গুলমার্গে রাত কাটানো ব্যয়বহুল।
পরের দিন সোনমার্গ।
পরের দিন শ্রীনগর শহর এর মধ্যে ইন্দিরা গান্ধী টিউলিপ গার্ডেন,শংকরাচার্য হিল,নাগিন লেক,নিশাত বাগ,বোটানিক্যাল গার্ডেন,শালিমার বাগ,চাশমেশাহী বাগ,পারিমহল,হযরত বাল দরগাহ।
পরের দিন ডাল লেক।ডাল লেকে শিকারা করে চাইলে রাতে হাউজ বোটে থাকতে পারেন।
Latest